নিলামে আকাশছোঁয়া দাম উঠল মেসির সঙ্গে ন্যাপকিন পেপারে করা বার্সেলোনার চুক্তিপত্রের

শুভব্রত মুখার্জি:- বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম কিংবদন্তি ফুটবলার আর্জেন্তিনার লিওনেল মেসি। তাঁর দীর্ঘ ফুটবলিং কেরিয়ারে এমন কোনও ট্রফি বা পুরস্কার নেই তিনি জেতেননি। দীর্ঘদিন তিনি খেলেছেন ইউরোপে। তাঁর ক্লাব কেরিয়ারের বেশিরভাগ সময়টা তিনি কাটিয়েছেন বার্সেলোনা ক্লাবে।

এরপর পিএসজি হয়ে বর্তমানে তিনি খেলছেন ইন্টার মায়ামির হয়ে। বার্সার লা মাসিয়া অ্যাকাদেমি থেকে শুরু হয়েছিল তাঁর পথ চলা। সেই সময়ে মেসির খেলা এতটাই নজর কেড়েছিল‌ তৎকালীন বার্সা কর্মকর্তাদের যে তারা আর দেরি করতে চাননি তাঁর সঙ্গে চুক্তিতে। এক ন্যাপকিন কাগজেই প্রথম চুক্তি হয়েছিল বার্সা এবং মেসির। সেই বিখ্যাত ন্যাপকিনকে সম্প্রতি তোলা হয়েছিল নিলামে। শুক্রবার যা অফিসিয়ালি বিক্রি হয়েছে। বিপুল অঙ্কের টাকায় বিক্রি হয়েছে সেই বিখ্যাত ন্যাপকিন। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১১ কোটি টাকাতে বিক্রি হয়েছে সেই বিখ্যাত ন্যাপকিন।

মাত্র ১৩ বছর বয়সী লিওনেল মেসির সেই বিখ্যাত ন্যাপকিন পেপারের গল্পটি সকলের জানা। আজ থেকে ২৫ বছর আগে ২০০০ সালে বার্সেলোনার ট্রায়ালে গিয়েছিলেন মেসি। তাঁর সেই সময়ের স্কিল চমকে দিয়েছিল সকলকে। ছোট্ট মেসির প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে ওই বছরের ১৪ ডিসেম্বর বার্সেলোনা টেনিস ক্লাবে মেসির সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত করেছিল বার্সালোনা ক্লাব।

আরও পড়ুন:- IPL-এর ইতিহাসে সব থেকে বেশি চার মেরেছেন কারা, দেখুন সেরা পাঁচের তালিকা

তাঁকে যাতে অন্য কোনো ক্লাব নিতে না পারে, সেই জন্য সেদিন তড়িঘড়ি করে একটি ন্যাপকিন পেপারের ওপর সেই চুক্তি করা হয়েছিল। ফেব্রুয়ারি মাসেই খবর এসেছিল ঐতিহাসিক সেই ন্যাপকিন পেপার ২০২৪ সালের মার্চে নিলামে তুলবে ব্রিটিশ নিলাম সংস্থা বোনহামস। মার্চে সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছিল, ন্যাপকিন পেপারের দাম ৬ লক্ষ ৩৫ হাজার ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে। তবে সেই ঐতিহাসিক সেই ন্যাপকিন পেপারের দাম প্রত্যাশাকেও কয়েকগুণ ছাড়িয়ে গেছে।

আরও পড়ুন:- Virat Kohli's Huge Milestone: ১৭ মরশুমের আইপিএল ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে ‘৭০০-র’ শিখরে কোহলি

ব্রিটিশ নিলামকারী প্রতিষ্ঠান বোনহামসের তরফে জানানো হয়েছে শুক্রবার ন্যাপকিন পেপারটি নিলামে ৯ লাখ ৬৫ হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছে, যা ভারতীয় মুদ্রায় ১১ কোটি টাকার কাছাকাছি। নিলামে ন্যাপকিন পেপারের বেস প্রাইস রাখা হয়েছিল ৩ লক্ষ ডলার। উল্লেখ্য এই ন্যাপকিন পেপারের প্রাথমিক চুক্তির পরে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি করেছিল পরবর্তীতে বার্সালোনা ক্লাব।

আরও পড়ুন:- Pat Cummins: স্কুলের মাঠে কচিকাঁচাদের সঙ্গে ক্রিকেটে মাতলেন কামিন্স, ব্যাটিং-বোলিংয়ের পাশাপাশি করতে হল কিপিংও- ভিডিয়ো

ক্যাম্প ন্যু থেকেই তো শুরু হয়েছিল মেসির কিংবদন্তি হয়ে ওঠার সফর। সেদিন নীল কালিতে ন্যাপকিন পেপারে করা হয়েছিল চুক্তি। সেই চুক্তিপত্র পরবর্তীতে কাঁচের ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখা হয়েছিল। চুক্তিতে লেখা ছিল, ‘১৪ ডিসেম্বর, ২০০০, বার্সালোনাতে মিনগেলা, হোরাশিও এবং বার্সার ক্রীড়া পরিচালক কার্লোস রেক্সাসের উপস্থিতিতে পূর্ণ দায়িত্বের সঙ্গে নির্দিষ্ট অঙ্কে লিওনেল মেসিকে সই করানোর ব্যাপারে একমত হওয়া গিয়েছে।’

উল্লেখ্য আর্জেন্তাইন এজেন্ট হোরাশিও গ্যাগিওলি, যিনি প্রথমে মেসির নাম সুপারিশ করেছিলেন বার্সেলোনা ক্লাবকে। তাঁর উপস্থিতিতেই ন্যাপকিন পেপারে এই বিখ্যাত চুক্তি সম্পন্ন হয়। বোনহামসের‌ তরফে জানানো হয় ন্যাপকিন পেপারটি তারা গ্যাগিওলির কাছ থেকে সংগ্রহ করেছে। নিলামে যে দামে এটি বিক্রি করা হয়েছে সেই মূল্যের একটা অংশ অনলাইন নিলামের প্রশাসনিক ফি হিসেবে নিয়মমাফিক দিতে হবে।

2024-05-18T18:11:14Z dg43tfdfdgfd